সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:: সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার দীর্ঘদিনের অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলীকে বদলী করা হয়েছে। আমেরিকা প্রবাসী ফলিক খানের করা মামলায় বদলী হচ্ছেন এমন সংবাদ চারদিকে শোনা গেলেও তা অস্বীকার করেন আলোচিত সেই ওসি। শাস্তি স্বরূপ তাকে ঢাকা পুলিশ লাইনে বদলী করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানায় একমাত্র ওসি শিবলীই একাধারে ৫ বছরের অধিক সময় স্থায়ী ছিলেন। এর আগে কোন ওসি বা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তাও এতো দীর্ঘ মেয়াদী ছিলেন না। তবে তিনি পাশ্ববর্তী বিয়ানীবাজার থানায়ও একাধারে প্রায় ৫ বছর ছিলেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় গোলাপগঞ্জ থানার ওসিসহ ১ ইন্সপেক্টর ও ৬ এসআইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের লামা চন্দরপুর গ্রামের হাজী মৃত আলতাব আলী খানের ছেলে আমেরিকা প্রবাসী ফলিক উদ্দিন খাঁন। আদালত সেই মামলাটি তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ মামলায়ই দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ছাড়তে হয় আলোচিত ওসি শিবলীকে।
ওসি ফজলুল হক শিবলী বদলী হওয়ায় উপজেলার বেশিরভাগ লোক আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী গোলাপগঞ্জে আসার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। তিনি ২০০৯ সালের ২১ জুন সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় যোগদান করেন। সেই থানায় ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি যোগদান করেন গোলাপগঞ্জ থানায়। তিনি ওই থানায় যোগদানের পর বেড়ে যায় ডাকাতি, খুন,গুপ্ত হত্যা, ছিনতাই, চুরি ও অসামাজিক কর্মকান্ড।
শুধু তাই নয় তিনি ওই থানায় যোগদানের পর অনেক অসহায় লোককে দুর্বল করার জন্য মিথ্যা মামলার আসামী করেছেন। অনেক লোকই এসব মিথ্যা মামলায় কেউ জেলের ভিতর আবার কেউ জামিন নিয়ে তারিখে তারিখে হাজিরা দিচ্ছেন। উনার যোগদানের পর কোন অসহায় লোক আইনী কোন সহায়তা পায়নি। উল্টো মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছে।
এসবের প্রতিবাদ করায় প্রবাসী সাংবাদিসহ কেউই উনার হাত থেকে রেহাই পায়না বলে নিয়ে ভূক্তভোগিরা সু-বিচার পাওয়ার জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), সিলেটের ডি.আই.জি ও পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাতে কোন কাজ হয়নি। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর করা মামলায় শুধু গোলাপগঞ্জ নয় সিলেট ছাড়তে হয় ওসি শিবলীকে।