উপজেলা নির্বাচনে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লক্ষাধিক সদস্য

নিউজ ডেস্ক:: পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠেয় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নিরাপত্তা ছক তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি ধাপের ভোটে কেন্দ্র পাহাড়ায় থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, কোষ্টগার্ড, আর্মড পুলিশ রাস্তায় টহলে থাকবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ভোটে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রথম ধাপে ৮৩ উপজেলা পরিষদে ভোট হবে। এসব উপজেলায় মোট কেন্দ্র ৬ হাজার ২১৯টি আর ভোটকক্ষ ও ৩৯ হাজার ১৫৯টি।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৪ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পার্বত্য ও বিশেষ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। সে হিসেবে ৬ হাজার ২১৯টি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন প্রায় ৯৩ হাজারের বেশি। এর সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকা বিজিবি ও র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলায় থাকবেন প্রায় লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, প্রথম পর্বের ভোটের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করেছে। নির্বাচনের দিন, আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রের জন্য সশস্ত্র ও লাঠিধারিসহ ১৪ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের ক্ষেত্র ১৬ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি এলাকায় দুই থেকে তিন প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটগ্রহণের পূর্বে দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের একদিন এবং যাতায়াত ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক একদিনসহ মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবে। তবে অঙ্গীভূত আনসাররা প্রশিক্ষণের জন্য একদিন বেশি নিয়োজিত থাকবে।

এদিকে নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ভোটগ্রহণের তিনদিন পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলায় একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধে ভোটগ্রহণের তিনদিন পূর্ব হতে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির। সেইসঙ্গে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োাজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রতিটি টিমে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।

নির্বাচনী অপরাধসমূহ বিচারের জন্য আমলে নেয়া এবং সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য সম্পন্ন করতে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী সাত দিন হতে ভোটগ্রহণের পরবর্তী সাতদিন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে তিন দিনের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *