অস্ট্রেলিয়া উড়াল দিলেন শাবনূর

বিনোদন ডেস্ক:: ঢাকাই চলচ্চিত্রের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী শাবনূর। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। চলচ্চিত্র থেকে দীর্ঘ দিন দূরে আছেন এই নায়িকা। স্বামী ও সংসার নিয়েই কাটছে তার জীবন। বছরের বেশী ভাগ সময়ে থাকেন তিনি অস্ট্রেলিয়ায়।

মাঝে মাঝে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন তিনি। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে ছিলেন তিনি। তবে অবকাশ কাটয়ে ফের অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা শাবনূর।

জানা গেছে একমাত্র পুত্র আইজান নেহানকে স্কুলে ভর্তি করাতে হুট করে তার এই সফর। তার স্বামী অনিক মাহমুদ জানান, দিন দশেক আগে সিডনি গেছেন শাবনূর। ছেলের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে মাস তিনেক পর দেশে ফিরবেন তিনি।

ছেলেকে নিয়ে নিজের আশার করা উল্লেখ করে গত জন্মদিনে এক সাক্ষাৎকারে শাবনূর জানিয়ে ছিলেন, আমি চাইব, ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। ও যা হতে সেটাই হবে হবে। আমার যেমন পরিকল্পনা ছিল, তেমনি আমি নায়িকা হয়েছি। আইজানও তার মতো করে কোনো পেশা বেছে নেবে।

নব্বই দশকের এই জনপ্রিয় নায়িকা ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন এ অভিনেত্রী। বিয়ের দুই বছরের মাথায় স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হন তিনি। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাদের পুত্রের জন্ম হয়।

সিডনিতে তার ভাই-বোনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকেন। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও মাঝে-মধ্যে দেশে ফেরেন তিনি।

উল্লেখ, সবশেষ মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এতো প্রেম এতো মায়া’ নামে একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি তবে এখনো ছবিটির শুটিং শেষ হয়নি।

চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী রাতে সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন। সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারন অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস ও শাকিব খান এর সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে অসংখ্য ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন।

২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *