সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক::সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নগরীর সোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়ালিদ হোসেন অভিযোগ করেছেন, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিমের অত্যাচারে তিনি বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না। না পেয়ে সেলিমের ক্যাডারবাহিনী তার বাসায় হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা করেছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে তার পরিবার।
শনিবার (১৯ জানুয়ারী) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে ওয়ালিদ হোসেন বলেন, গত সিটি নির্বাচনে ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই তার প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের লোকদের নাজেহাল করতে আদাজল খেয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম।
তিনি আরও বলেন, নিজেকে আওয়ামী লীগ দাবি করলেও সেলিম গ্রুপের মধ্যে জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের সংখ্যাই বেশি। এলাকার আওয়ামী লীগপন্থী লোকদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন অবর্ণনীয় নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে। ফলে শিবগঞ্জ সোনারপাড়া ও উপশহর এলাকা ক্রমশঃ আওয়ামী লীগ শূন্য হয়ে পড়তে শুরু করছে।
ওয়ালিদ বলেন, সেলিমের স্বৈরাচারী কোন কাজের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতনের স্টীম রোলার। এ ধরণের নির্যাতন-নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার হয়ে আমি এখন ভবঘুরে জীবন যাপন করছি। চরম নিরাপত্তাহীনতায়-ভোগছে আমার স্বজন ও পরিবার।
সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২২নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হন আওয়ামী লীগ পরিবারের ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম। গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে আমি কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুমের পক্ষে কাজ করি। এ থেকেই আমার সাথে কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিমের বিরোধ।
তিনি বলেন, সেলিম আমাকে একেবারে স্তব্ধ ও দুনিয়া থেকে উঠে দিতে চাইছেন। গত ১৪ জানুয়ারি সোমবার বেলা অনুমান ২ ঘটিকার সময় মোটরসাইকেল যোগে একদল সন্ত্রাসী আমার বাড়ির সামন থেকে আমাকে উঠিয়ে (অপহরণ করিয়ে) কাউন্সিলর কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি আমাকে নির্যাতন করেন। এসময় তার নেতৃত্বাধীন সেলিম বাহিনীর রাসেল, চঞ্চল, নিয়াজসহ কয়েক মিলে পিস্তল ঠেকিয়ে মারপিট করে এবং আমার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি রক্ষা পাই।
ওয়ালিদ হোসেন লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, পরবর্তীতে আমাকে না পেয়ে সোনারপাড়াস্থ পৈত্রিক নিবাস নবারুণ ৪৫ নং বাসায় সন্ত্রাসী হামলা এবং গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। আমকে না পেয়ে বাসায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। আমার একমাত্র ছেলে ও প্রতিবন্ধী দুই ভাই এবং স্ত্রীকে নানাভাবে শাসায় ও আমাকে যেখানে পাবে খুন ও গুম করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে।
ঘটনার পর ওইদিন রাতেই আমি এসএমপি’র শাহপরাণ(র) থানায় কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসী রাসেল, চঞ্চল নিয়াজ-সহ কয়েজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওয়ালিদ হোসেন। অভিযোগটি বর্তমানে শাহপরান থানা পুলিশের তদন্তে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আখতার হোসেন।
এভাবে সেলিম বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়েছে পড়েছে সোনারপাড়া ও উপশহরবাসী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি আইনশৃংখলা বাহিনী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কবির, এমদাদ, সুহেল, সাঈদ, শাহজাহান, সেফুল, শরীফ, শামীম, শাকিল, সাহেদ, ফখর, বিকাশ, সাজ্জাদ, আব্দুর রহমান, রবিন, মাছুম, ফয়সল, আকবর প্রমুখ।