সিলেটে হঠাৎ করে শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিলো। হঠাৎ করে শুরু হয়ে যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষকালে শর্টগান দিয়ে গুলি ছুড়ারও খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি নেতারা বলেছেন ঘটনাস্থল থেকে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

সকাল ১০টার সময় নগরীর পাঠানটুলা জামেয়া কামিল মাদ্রাসার সেন্টারে হঠাৎ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একদল যুবক লাটিসোটা নিয়ে ধানেরশীষ সমর্থকদের দাওয়া করে। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির ৬ সমর্থক আহত হন বলে তারা জানিয়েছেন।

এ সময় পথচারী এবং সাধারণ ভোটারা দিক-বেদিক দৌড়াতে থাকেন। এসময় ঐ ভোটকেন্দ্র প্রায় ১৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। প্রিজাইডিং অফিসার জামিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,‘কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের ভেতরে কোনও সমস্যা হয়নি। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে । ১৫ মিনিট পরেই আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।’

ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত রয়েছে।

সিলেট নগরীর ৫নম্বর ওয়ার্ডের খাসদবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও বিএনপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন।
তারা বলেন, সোমবার সকল পৌনে ১০ টার দিকে ভোট কেন্দ্র দখলে নেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা রিমাদ আহমদ রুবেল ও তার কর্মীরা।

এ ঘটনায় প্রায় ১ ঘন্টা ভোট কেন্দ্র বন্ধ ছিল। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিজিবি সদস্যরা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের খাদিম পাড়ায় আলামিন জামেয়া হাইস্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টকে জোর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয় নৌকা সমর্থকরা। পুনরায় কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে সশস্ত্র অবস্থায় সমর্থকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় যুবদল নেতা কামাল আহমদ আহত হন বলে তারা জানান। তারা আরো বলেন, আশপাশে পুলিশ থাকলেও এ সময় তারা নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না।
এছাড়া মেজরটিলা শাহকোর্ট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টার দিকে বিএনপি নেতা, ইউপি মেম্বার পাখি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তখন ওই কেন্দ্রে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন্দ্র থেকে সরে পড়ে। বিএনপি নেতারা আরো জানান, পাখি মেম্বারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে সিলেটের ব্লু বার্ড স্কুলে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই। ছাত্রদল নেতা পারভেজ খান জুয়েল বলেন, গতরাতে দুজন পোলিং এজেন্টকে গ্রেপ্তার করায় ভোটকেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট দেয়া যাচ্ছে না।

নগরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। তারা যে কোন পরিস্থিতি
মোকাবেলায় বন্ধপরিকর। এই কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া অন্যান্য এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন চলছে বলে জানিয়েছেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *