জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট শুনানি চলছে

নিউজ ডেস্ক::  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বহালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি চলছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের শুনানি শুরু হয়। বুধবার রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

আইনজীবী জানান, জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। পরে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।

রিটকারীর আইনজীবী তানিয়া আমীর জানান, নিবন্ধনহীন জামায়াতের কোনো নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছেন না। অন্য দলের প্রতীকেও তাঁদের ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। এরপরও জামায়াতের নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ইসি হাইকোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

বুধবার রিট আবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের পর এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ। এ বেঞ্চেই রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে।

হাইকোর্টের রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যায় ইসির সভায় জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবির রিট আবেদনটি করেন।

রিটে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ২২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিন জামায়াত প্রার্থীর ভোটে অংশগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।

আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রার্থী হওয়া ২২ জনসহ ২৫ জামায়াত নেতা হলেন-

১. ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান

২. সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান

৩. খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ

৪. কুমিল্লা-১১ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

৫. খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরোয়ার

৬. কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ

৭. পাবনা-৩ আনোয়ারুল ইসলাম

৮. পাবনা-৫ ইকবাল হোসাইন

৯. যশোর-২ আবু সাঈদ মো. শাহাদাত হোসাইন

১০. ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম

১১. দিনাজপুর-১ আবু হানিফ

১২. দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম

১৩. নীলফামারী-৩ আজিজুল ইসলাম

১৪. গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান

১৫. সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক

১৬. সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম

১৭. পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী

১৮. নীলফামারী-২ মো. মনিরুজ্জামান

১৯. ঝিনাইদহ-৩ মতিয়ার রহমান

২০. বাগেরহাট-৩ ওয়াদুল শেখ

২১. বাগেরহাট-৪ আসনে আবদুল আলীম

২২. চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম।

স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হওয়া তিনজন

২৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল

২৪. চট্টগ্রাম-১৬ জহিরুল ইসলাম

২৫. পাবনা-১ আসনে নাজিবুর রহমান মোমেন

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *