খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।

সিলেট-১ আসনে বিএনপি-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের প্রার্থিতা বাতিল হচ্ছে। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ জটিলতার গ্যারাকলে পড়েছেন এই প্রার্থী।একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে মুক্তাদিরের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য উচ্চ আদালত ও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে এ ব্যাপারে ঘোষণা আসতে পারে।নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মনোনয়ন দাখিলের ৭ দিন আগে ব্যাংক ঋণ পুনঃতফসিল করতে হবে।

কিন্তু খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দুইটি ব্যাংকের তিনটি ঋণ মনোনয়ন দাখিলের ২ দিন আগে পুনঃতফসিল করেছেন।নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মনোনয়ন দাখিলের ৭ দিন আগে ব্যাংক ঋণ পুনঃতফসিল করতে হবে। কিন্তু খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দুইটি ব্যাংকের তিনটি ঋণ মনোনয়ন দাখিলের ২ দিন আগে পুনঃতফসিল করেছেন।পুনঃতফসিলকৃত ঋণগুলো হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে এক্সিম ব্যাংকের ৪৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬১ দশমিক ২৫ টাকা। একক নামে থাকা এক্সিম ব্যাংকের ৮৭ লাখ ৩ হাজার ১৪১ দশমিক ৬৭ টাকা ও সিটি ব্যাংকের ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৭ দশমিক ৮৩ টাকা। মোট ৪৪ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার ২৯০ দশমিক ৭৫ টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।এ ব্যাপারে সিলেটের রিটার্নিং অফিসার কাজী এম এমদাদুল ইসলাম  জানান, প্রার্থীদের ঋণ সংক্রান্ত এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে থাকে। সে আলোকেই মনোনয়নপত্র বৈধ বলা হয়েছে।

মর্যাদার আসন বলে খ্যাত সিলেট-১ (মহানগর-সদর উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. একে আবদুল মোমেন ছাড়াও ভোটযুদ্ধে আছেন জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা নাসির উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আহমদ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উজ্জ্বল রায়, বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল, ইসলামী ঐক্যজোটের মুহাম্মদ ফয়জুল হক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আনোয়ার উদ্দিন বোরহানাবাদী ও ইসলামী আন্দোলনের মো. রেদওয়ানুল হক চৌধুরী রাজু।সুত্র: দৈনিক যুগান্তর

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *