যুগান্তর ও যমুনা টিভির সাংবাদিকদের ওপর হামলা

নিউজ ডেস্ক::ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপজেলার কলাকোপা এলাকার ‘শামীম গেস্ট হাউজে’ এ হামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শামীম খান নামের একজন সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে সাংবাদিকরা জানান।

যুগান্তর ও যমুনার সাংবাদিকরা বলেছেন, তারা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাছে নবাবগঞ্জে গিয়েছিলেন।

যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৩৫/৪০ জন যুবক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে গেস্ট হাউজে হামলা চালায়। তারা গেস্ট হাউজের বাইরে থাকা সাংবাদিকদের ১৬টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। হোটেলও ভাংচুর করে। হামলায় যমুনা টিভি ও যুগান্তরের অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ও গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক জুয়েল আহত হয়েছেন।

সুশান্ত জানান, ওই গেস্ট হাউজে যমুনা টেলিভিশন ও যুগান্তরের ৪০ জন সাংবাদিক রয়েছেন। তারা সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান। হামলাকারী যুবকরা আমাদের গালাগাল দিয়ে বলে- তোরা কার জন্য ভোট নিতে এসেছিস?

সুশান্ত অভিযোগ করে বলেন, হামলার সময় তিনি নবাবগঞ্জের ইউএনও তফাজ্জল হোসেনকে ফোন করলে তার ছোট ভাই ফোন ধরে বলেন, ‘ইউএনও ঘুমিয়ে পড়েছেন, তাকে ডাকা যাবে না’।

যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আখলাখুত সাফা জানান, হামলার পর থেকে আমাদের ধামরাই প্রতিনিধি শামীম খানকে পাওয়া যাচ্ছে না। হামলাকারীরা তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে ঢাকার পুলিশ সুপার মিজান শাফিউর রহমান বলেন, হামলার ঘটনা ঘটেছে, এটা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। দোষী যেই হোক গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। তিনি যমুনা গ্রুপের কর্ণধার নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী। যুগান্তর ও যমুনা টিভি যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এই আসনে সালমা ইসলামের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকের প্রার্থিতা আদালতে আটকে গেছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *