বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে রাসমণি-কন্যা জগদম্বার শ্রেষ্ঠ কীর্তি এখনও উজ্জ্বল কলকাতায়

বিনোদন ডেস্ক :: মায়ের মতোই কীর্তিমতী ছিলেন রাণী রাসমণির ছোট মেয়ে। বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে তাঁর অবদানও নেহাত কম নয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মন্দির অত্যন্ত জাগ্রত বলে পরিচিত।

‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিক দেখে তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ পরিচিত হচ্ছেন বাংলার ইতিহাসের বিস্মৃত অধ্যায়ের সঙ্গে।

বিশেষ করে সেন্ট্রাল বোর্ডের স্কুলে যাঁরা পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের কাছে অধরা থেকে যায় বাংলার ইতিহাসের খুঁটিনাটিগুলি। তাঁদের কাছে ও আরও বহু মানুষের কাছে এই ধারাবাহিক অবশ্য়ই শিক্ষামূলক।

ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক এপিসোডগুলিতে দর্শক পরিচিত হয়েছেন জগদম্বা ও তাঁর ভবিষ্যত স্বামী মথুরবাবুর সঙ্গে। শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল যাঁরা, তাঁদের কাছে মথুরবাবু অত্য়ন্ত পরিচিত একটি নাম। কিন্তু তাঁর স্ত্রী জগদম্বা সম্পর্কে খুব একটা অবহিত নন বহু মানুষ। অথচ তাঁর মায়ের মতো তিনিও ছিলেন কীর্তিমতী। কলকাতার কাছেই ব্যারাকপুরে এখনও উজ্জ্বল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় কীর্তিটি— অন্নপূর্ণা মন্দির।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৫ সালে। তার ২০ বছর পরে তৈরি হয় এই মন্দির। ১৮৭৫ সালে এই মন্দির উদ্বোধনের সময় স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব উপস্থিত ছিলেন। এই মন্দিরের স্থাপত্যের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্থাপত্যের অসম্ভব মিল। ভবতারিণী মন্দিরের আদলেই এই মন্দির তৈরি করেছিলেন জগদম্বা কিন্তু পরিসরে এই মন্দির অপেক্ষাকৃত ছোট কারণ এখানে রয়েছে মাত্র ৬টি শিব মন্দির।

শোনা যায় জগদম্বা এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন যে তাঁর মায়ের কীর্তিকে অতিক্রম করার চেষ্টা না করেন। এই মন্দিরের বিগ্রহ অষ্টধাতুর। সারা বছরই এই মন্দিরে ভক্ত সমাগম হয়, তবে মার্চ-এপ্রিল মাসে অন্নপূর্ণা পূজার সময়ে এই মন্দিরে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন বেশি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *