রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে

নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা ক্রমেই স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। এটি এখন সহজে সমাধান হবে না।

তাই আমাদের কূটনীতির জায়গায় এগুতে হবে। বাংলাদেশ সঠিক কূটনীতিই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর এ গণহত্যার পুরো বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।

এ সময় তারা এ ঘটনায় অপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্র তৈরি, রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট ঠিকানার ব্যবস্থা করা, চীন-রাশিয়া-জাপান-ভারতের কাছে জোরালোভাবে বিষয়টি তুলে ধরা, বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থাকে চাপ প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী : সমস্যা ও প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমএ জলিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সরদার সৈয়দ আহমেদ, এজেডএম সালেহ, যুগ্ম-সম্পাদক রণজিত কুমার নাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। স্থানীয় পর্যায় থেকে জনমত গঠনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আরও দৃঢ়ভাবে কূটনীতি চালিয়ে যাওয়ার শক্তি দিতে হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত গণহত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আদালতে উপস্থাপন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *