সিলেটের ৬ টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত ৮টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে বাকি ২টি উপজেলায়।

ইতোমধ্যে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানীবাজার উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হওয়ায় উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা।

গত আগস্টে এসব উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে ওসমানীনগর ও জকিগঞ্জ উপজেলায়।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর তথ্যমতে, গত ১০ বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট দশ ভাগ কাজ সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার আগেই শেষ হয়ে যাবে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম জানান, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত ৮টি উপজেলার ২ হাজার ১৪৩টি গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে মোট ৩ হাজার ২৩১ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ২৯৪ কোটি ৪৫ টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন এক লাখ ৯১ হাজার গ্রাহক। এতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহক সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে।তিনি আরও জানান, বর্তমানে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত এলাকা বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ মেগাওয়াটে, যা পূর্বের তুলনায় ১৫৮ ভাগ বেশি। এছাড়া বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমেছে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সংখ্যা ও ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ।

তিনি বলেন, আগে যেখানে ৭টি উপকেন্দ্রে ৬৭.৫ এমভিএ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো সেখানে এখন উপকেন্দ্রের সংখ্যা ১৮টি, সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ এমভিএ।

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ একাংশ) এর সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার ফেঞ্চুগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বালাগঞ্জ উপজেলা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ এই জনপদে মানুষের কর্মঘণ্টা বেড়েছে, সেচ ও কৃষিকাজ সহজ হয়েছে, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অবদান বাড়ছে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে তুলবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *