সাহেদ আহমদ:: প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তম ইউনিয়নে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত একটি গ্রামের নাম বিছানাকান্দি। যা বাংলাদেশের একটি অন্যতম মনোমুগ্ধকর পর্যটন কেন্দ্র। আর এই স্থানে যেতে হলে পর্যটকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ভাঙা রাস্তা। সিলেটের প্রায় সবক’টি পর্যটন কেন্দ্রের সড়কের একই দশা। যদি কেউ সিলেটের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তবে তাকে এসব ভাঙা রাস্তায় ভোগান্তি সয়েই যেতে হয়।
বিশেষ করে সিলেট-বিছানাকান্দি সড়ক প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। সিলেট থেকে বিছানাকান্দির দূরত্ব প্রায় ২৫ কিঃ মিঃ, আর এই পচিশ কিঃ মিঃ পথ যেন হয়ে উঠে যাত্রীদের কাছে অসস্তির চরম সীমা! ছোট বড় অসংখ্য গর্তের কারণে বেশির ভাগ প্রধান সড়কে যানবাহন চলছে হেলেদুলে। অনেক সময় সড়কে অটোরিক্সা উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যখন তখন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্পটে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর।
ছোট-বড় গর্তগুলো ভরাট করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচল উপযোগী না করলে আগামীতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকবছর আগে মোটা অঙ্কের ব্যয় করে সড়ক উন্নয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু নিম্নমানের কাজের কারণে এক বর্ষাতেই মুছে গেছে উন্নয়নের এই নিশানা। মূল সড়কের বেহাল দশা বর্ষার আগ থেকেই। সড়কের দুই পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজের সময় বেহাল হতে থাকা সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।এই সড়কের এক কিলোমিটার পথ যেতে অন্তত ১০ মিনিট সময় লাগে অথচ রাস্তার বেহাল দশার কারণে লেগে যাচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা!নির্মাণের পরপরই একটি রাস্তা ভগ্ন দশায় পরিণত হবে কেনো? তাই এসব ক্ষেত্রে রাস্তা নির্মানে কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কয়েকজন স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে সজল নামের একজন স্থানীয় এই প্রতিবেদককে জানান, ‘রাস্তাটির ঠিকাদার আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন অন্যান্য ঠিকাদারের তুলনায় নাকি তাঁর কাজ উত্তম। এখন বোঝা যাচ্ছে, তিনি আমাদেরকে ধোঁকা দিয়েছেন।’
এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেট সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কোম্পানীগঞ্জ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এই সড়কের কাজ শীগ্রই শুরু হবে। সড়কটি সংস্কার হলে বিছানাকান্দি, পান্থুমাই ও ভোলাগঞ্জ যেতে বেগ পেতে হবে না সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের।
তিনি বলেন, সওজের অধীনস্ত ভাঙা সড়কগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাফলং সড়কে রাস্তার শেষের ৭ কি.মি. অংশ বেশি খারাপ। এই সড়কের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জকিগঞ্জ-চারখাই থেকে শাহবাগ ১০ কি.মি., শাহবাগ থেকে কানাইঘাট ৫ কি.মি., বিশ্বনাথ লামাকাজি ৭ কি.মি. সড়কের সংস্কার কাজও প্রক্রিয়াধীন।