চাকরিতে বয়স সীমা বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ 

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করনের জন্য সংগঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি গত ১৩/০৯/১৮ ইং তারিখ রাত ১০ টায় কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক সঞ্জয় দাস, যুগ্ম-আহবায়ক হারুন-অর-রশিদ,শফিকুর রহমান ও লিউনা হক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুযোগ্য সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সহযোগিতায় বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এর সাথে বঙ্গভবনে সাক্ষাত করেন। এই সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গভবনের আতিথীয়তা ও রাতের নৈশভোজ গ্রহন শেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত ও ৩৫ নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশ সাধারন ছাত্রপরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ৩৫ এর তথ্যসম্বলিত বই ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।

৩৮৭ পৃষ্ঠার বইটিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩২-৪০ বছর, শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন, বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫-৫৯ পর্যন্ত, পি এস সি’র শিক্ষা সফরে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম অনুসরনের বিষয়, চাকরিতে বয়স বাড়ানোর জন্য সংসদ সদস্যদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রস্তাব, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সংসদীয় কমিটির তিনবার সুপারিশের কপি সহ অন্যান্য সকল তথ্য।

এই সময় ছাত্রলীগের সম্মানিত সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাধারণ ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচয় করিয়ে দেন এবং ৩৫ এর বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং গোলাম রাব্বানী মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বলেন বাংলাদেশে গত কয়েকমাস ধরে চলমান আন্দোলন বিষয় অবহিত ও চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেণ, তিনি আরো বলেন আমি সাধারণ ছাত্রপরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটিকে ডেকে এনে তাদের সাথে বসে আলোচনা করি এবং তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা জানতে চাই তখন তারা বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং বলেন যে ৩৫ করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি (স্পীকার থাকাকালীন) ৯ম সংসদে প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিঅাকর্ষণ করেছিলেন। তাই তারা আপনার সাথে সাক্ষাত করতে চায় তখন আমি তাদেরকে বলেছি যে ঠিক আছে আলোচনার মাধ্যেই সকল সমস্যা সমাধান করবো কিন্তু রাজপথে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করে সরকারের ইমেজ নষ্ট করা যাবেনা। কারন এখন আন্দোলন করলে বিএনপি জামাত আপনাদের মধ্যে ডুকে গিয়ে সরকারের ইমেজ নষ্ট করতে পারে এজন্যই যতটুকু সম্ভব আমরা আপনাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ।

এই সময় মহামান্য রাষ্ট্রপতি কথা গুলো শুনে খুব খুশি হোন এবং বলেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য আমি ৭ বছর আগে স্পীকার থাকাকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিঅাকর্ষণ করেছিলাম তখন অবশ্য বয়স বাড়ানোর কোন আন্দোলন ছিলোনা আমি নিজে থেকেই বলেছিলাম, তখন যদি প্রবেশের বয়সসীমা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দেওয়া হতো তাহলে হয়তো ৩৫ এর জন্য ৭ বছর ধরে এই আন্দোলন চলমান হতোনা,বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৩৫ করা হলে ছাত্র সমাজ অনেক উপকৃত হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি আবারও ৩৫ করার জন্যই বলবো তবে আমি যতটুকু জানতে পেরেছি প্রবেশের বয়সসীমা অবশ্যই বাড়বে তোমরা হতাশ ও ধৈর্য্যহারা হয়োনা প্রধানমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখো। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যে তোমরা ফলাফল পাবে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত ও ৩৫ এর বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুুরী শোভন ও সুযোগ্য সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অশেষ ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রপরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও যুগ্ম-আহবায়ক ছাত্রলীগের সম্মানিত সভাপতি সাধারন সম্পাদকের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানায় তাদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যেন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণের দাবী ৩৫ বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয় এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হাসিমুখে বলেন ছাত্রলীগ সব সময় ছাত্রদের সকল যৌক্তিক দাবির পক্ষে থাকবে এবং তাদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হবে বলে জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *