স্পোর্টস ডেস্ক::
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা হয় না দীর্ঘ পাঁচ বছর। গত পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞায় খুব একটা খেলা হয়নি ঘরোয়া ক্রিকেটেও। শেষ দুই বছরে যতটুক খেলেছেন তাতে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) কলাবাগানের হয়ে হাঁকালেন পাঁচ সেঞ্চুরি। যা কিনা এর আগে কোনও বাংলাদেশি ব্যটসম্যান করতে পারেনি এর আগে।
এইতো গত মাসে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে উঠে গেছে নিষেধাজ্ঞা। নির্বাচকরা চাইলে আশরাফুল খেলতে পারবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। কিন্তু এত দ্রুত কি আর নির্বাচকরা তাকে দলে ফেরাবে! বাংলাদেশ দলটা যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে আগের থেকে।
কিন্তু আশরাফুল থেমে নেই। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কিংবা নিষেধাজ্ঞা উঠার পরও আশরাফুল নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার একটাই লক্ষ্য, লাল-সবুজের জার্সিতে আবারও দলে ফেরা। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরার রাস্তাটা কি এতই মসৃণ?
দলে ফেরার রাস্তা যেমনই হোক সেসব নিয়ে না ভেবে আশরাফুল তার কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে।
তার প্রমাণ দিলেন আজ বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে ফিটনেসের পরীক্ষায়।
সম্প্রতি জাতীয় লিগে খেলা প্রত্যেক ক্রিকেটারের ফিটনেসের পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরইমধ্যে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া শেষ হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে বিপ টেস্ট নেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিভাগের ক্রিকেটারদের। বিপ টেস্টে ১১.৪ স্কোর উঠে মোহাম্মদ আশরাফুলের। তার পরই রয়েছেন শামসুর রহমান শুভ (১১.২) ও মার্শাল আইয়ুবের (১০.৭)। বিপ টেস্টে আশরাফুলের এমন পারফরম্যান্স দেখে খানিকটা অবাক হয়েছেন পরীক্ষকরাও।
কিন্তু মোটেও অবাক হননি ৩৪ বছর বয়সী আশরাফুল। বিপ টেস্ট শেষে গণমাধ্যমকে জানান, জাতীয় লিগ খেলব বলে গত তিন মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। চেয়েছি আমার ফিটনেস যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের হয়। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী হতে হয়, ফিটনেস নিয়ে অনুশীলনও করতে হয়। গত আড়াই মাসে ভাত খাওয়াটা একেবারে কমিয়ে দিয়েছি। শুধু ডায়েট করলেই হবে, এটা মনে করি না। ফিটনেস যদি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতে হয় তাহলে সেভাবে অনুশীলন করতে হবে। জিম-রানিংয়ের সঙ্গে সবজি বা অন্যান্য খাবার খাচ্ছি। খেতে পছন্দ করি, কিন্তু এবার অনেক নিয়ন্ত্রণ করেছি নিজেকে।
উল্লেখ্য, আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)।