সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হয়েছিলেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা, বাস প্রতীক নিয়ে প্রচারণা আর হাস্য রসাত্মক বিভিন্ন বার্তা দিয়ে তিনি ছিলেন নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী। তারা প্রার্থীতা নিয়ে জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ ও দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল তাকে। তারপরও জিইয়ে ছিলেন প্রার্থী হিসেবে। সেই সেলিম আবারো আলোচনায় ফিরে আসেন নির্বাচনের শেষপ্রান্তে দলীয় প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়ে।
আরিফুল হক চৌধুরীকে সমর্থন জানানোর পর একেবারে আড়ালে চলে যান বদরুজ্জামান সেলিম। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রচারণায় অংশ নেননি। নির্বাচনের পর চিকিৎসার জন্য চলে গেছেন যুক্তরাজ্যে। সেলিম বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও সিলেট বিএনপিতে তৈরি করে রেখেছেন ধূম্রজাল।
সিলেট বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের ধারণা পদ বহালের লিখিত কোন পত্র না পাওয়ায় সেলিম এখনো দলের পদ ফিরে পাননি। অন্যদিকে সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় এ ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি আরো জটিল হয়ে ওঠে। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টারিং করেছেন বদরুজ্জামান সেলিম। এরপর বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে আরো ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, সেলিম এবং সাদেক দুজনেরই পদ ব্যবহারের বিষয়টি সঠিক। সেলিম বর্তমানে দলীয় পদে বহাল রয়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় তার অবর্তমানে আজমল বখত সাদেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১৯ জুলাই কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আরিফের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সেলিম।
এ সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান জানান, দলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বদরুজ্জামান সেলিমকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদেই থাকছেন। এর আগে গত ১০ জুলাই ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড লিপ্ত থাকার’ অভিযোগে সেলিমকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।