পইলে স্ত্রী হত্যা মামলায় আটক স্বামীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আজিজুল ইসলাম সজীব ::  হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে স্ত্রী হত্যা মামলায় আটক জুয়েল মিয়া (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল  বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পলাশ চন্দ্র দাস জানান, সে জবানবন্দিতে উল্লেখ করে প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হত। এক পর্যায়ে সে অতিষ্ট হয়ে লক্ষীপুর জেলায় গিয়ে জুসনা নামে এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এবং সেখানে টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এরপরও প্রায়ই ফোনে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে সে তার প্রতি অতিষ্ট হয়ে উঠে। হত্যার করার এক সপ্তাহ আগে সে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেও তার শান্তি ছিল না। প্রতিদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। গত ৪ আগস্ট স্বামী-স্ত্রী এক সাথে থাকার পর ফজরের আযানের সময় লক্ষীপুর যেতে রওয়ানা হলে তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলার উড়না দিয়ে গলায় পেছিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে লাশটি ডুবায় ফেলে যায়। সে হবিগঞ্জ ত্যাগ করে ফোনে তার বাড়ির অভিভাবকদেরকে জানায় ফাহিমাকে সে হত্যা করেছে। সে একাই হত্যা করেছে তার সাথে আর কেউ ছিল না। জবানবন্দি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, ৪ বছর আগে এড়ালিয়া গ্রামের ফাহিমা আক্তারকে পইল উত্তর পাড়া গ্রামে মঞ্জব আলীর পুত্র জুয়েলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।

বিয়ের পর গত ৪ আগস্ট ফাহিমার লাশ পইলের একটি ডুবা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ফাহিমা আক্তারের ভাই আমির উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে জুয়েল আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার এসআই শাহিদ মিয়া ও পলাশ চন্দ্র দাস গত সোমবার লক্ষীপুর জেলা সদরে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *