নিজস্ব প্রতিনিধি:: চুনারুঘাট উপজেলার মুছিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৮টি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী নির্মানে রড ছাড়াই লিন্টার নির্মান ভেঙ্গে নতুন করে বাউন্ডারি নির্মানের নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও বাউন্ডারি নির্মানে সকল প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী ছিল নিম্নমানের যা সম্পূর্ন নিয়ম বর্হিভূত কাজ।
এসব বিষয়ও আমলে নেওয়া হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে যথাযথ সিডিউল মেনে কাজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ৮টি বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি নির্মানে উপজেলা প্রকৌশলীসহ তদারকি কর্মকর্তাদের গাফিলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী নির্মানে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ঠিাকাদাররা যথারিতী কাজ শুরু করে ইতোমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে। এদিকে চলতি মাসের প্রথম দিকে উপজেলার মুছিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখেরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বড়কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রড ছাড়াই লিন্টার নির্মান এবং সিডিউল অনুযায়ী অন্যান্য মালামাল ব্যবহার করা হয়নি। এ বিষয়টি মুছিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সদস্যরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লিন্টার ভেঙ্গে এর সত্যতা পান। ৩টি বিদ্যালয়ে রড ছাড়াই লিন্টার নির্মান এবং অন্যান্য বিদ্যালয়েও রড না দিয়েই কাজ শুরুর পায়তারা করে। পরে উপজেলা প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দেন। এনিয়ে গত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে।
এক পর্যায়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যায়, এ কাজে উপজেলা প্রকৌশলী মীর সাকির আহমেদ এবং তার কার্যালয়ের তদারকি কর্মকর্তাদের গাফিলতি রয়েছে। অবশ্য তারা বিষয়টি স্বীকার করে জানায়, জুন মাসের ক্লোজিং থাকায় এমন হয়েছে। এছাড়া ইস্টমিটে লিন্টারে রড ধরা হলেও ড্রয়িংএ রড দেখানো নেই বলে তারা দায় মুক্তি হতে চায়। এ নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবালসহ সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বাউন্ডারি ভেঙ্গে নতুন করে বাউন্ডিারি নির্মানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ হবিগঞ্জ থেকে এ বিষয়ে নতুন করে বাউন্ডারি নির্মানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের বলেন, সকল বাউন্ডারি ভেঙ্গে নতুন করে বাউন্ডারি নির্মানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং যারা এ কাজের অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল জানান, তদন্ত করে নির্মাণের অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারের নতুন করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।