পিআইবি মহাপরিচালক আলমগীরের মেয়াদ বাড়ল আরোও ১ বছর

বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ১ বছরের জন্য আবারও বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৯ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আদেশে বলা হয়, শাহ আলমগীরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় এবং অনুরূপ শর্তে ৭ জুলাই অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য বাড়ানো হলো।
এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আগের চুক্তির শর্তাবলী অপরিবর্তিত রেখে পুনরায় চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মো. শাহ আলমগীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে ২০১৩ সালের ৭ই জুলাই প্রথম এক বছরের জন্য ও ২০১৪ সালের ৭ জুলাই আরও দুই)বছরের জন্য এবং ২০১৬ সালে আরও দুই বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
এছাড়া মো. শাহ আলমগীর ২০১৫ সালের ১৮ মে থেকে পিআইবি মহাপরিচালকের পাশাপাশি বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ, সাংবাদিকতা সম্পর্কিত গবেষণা ও সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে কাজ করে থাকে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। এর বাইরে মস্কো ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা ও থমসন ফাউন্ডেশন পরিচালিত সাংবাদিকতায় উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সেও অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— করাচিতে সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া আয়োজিত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিষয়ক কর্মশালা, ফিল্ম আর্কাইভস আয়োজিত ফিল্ম অ্যাপ্রিশিয়েসন কোর্স ও ভারতের গোয়ায় UNDP আয়োজিত ‘South Asian media and its role in attaining the Millennium Development Goal’ শীর্ষক সম্পাদকদের কর্মশালা।
শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা পেশার শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদে। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনাব আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যান সংগঠন ‘চাঁদের হাট’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।  এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।

পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি এওয়ার্ড ২০০৪’, ‘রোটারি ইন্টারন্যাশনাল লাইফ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়্যার্ড-২০১৬’ পেয়েছেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *