“ঈস্পিতা অবনী চৌধুরী”
সত্তায় ভূমিষ্ঠ হওয়া পাপ আমার আঁচলে,
ধূলিকণা লেপ্টে থাকে গায়ে।
জন্মের অরুচিতে অসুস্থ শিশু চোখে জল নিয়ে কাদা চিবোয়।
তখন ওই ঈশ্বর কি দেখেন?
তিনি কি তখনও ধর্ম লেখেন হাত পা গুটিয়ে?!
আমার ইচ্ছে করে।
আমার খুব ইচ্ছে করে- ঈশ্বর হয়ে একবার ভাগ্য লিখি নিজের।
নিজের- ওই অসুস্থ শিশুর- আঁচলে জড়ানো পাপের।
আমি হয়তো নিষ্ঠুর হতাম না, হতাম না পাথরের মূর্তি কিংবা ক্রুশে ঝুলানো জিজাস।
আমি হতাম খোঁপায় কৃষ্ণচূড়া দেয়া দিঘির ঘাটে বসে থাকা পদ্ম।
আমার- প্রেমিক হতো ওইযে কেবল একজন-ই।
আমি হতাম ঈশ্বরী!
না না! ইশ্বর-ই হতাম।
প্রেমিক আমার পুজো দিতো, প্রেমিক সঙ্গমে আমায় সেজদা দিতো।
বাইবেল ছিঁড়তাম, শিশুটাকে খাইয়ে দিতাম
কিরেহ ব্যাটা, ক্ষুধা মরেনি! কাদা খাস কেনো?
আমাকে খাবি! ঈশ্বরকে?
আঁচল থেকে পাপ নেমে আসবে বুকে, স্তনে।
খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে সে বলবে, আমায় কিছু মানুষ দিবি? পাপ হবো!
পাপেরা মানুষ চায়, আর মানুষেরা চায় ভালবাসা।
ঈশ্বর-ই ভাগ্য লেখেন! ধর্ম লেখেন!