নিউজ ডেস্ক:: মৌলভীবাজার পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো শাহাদত হোসেনের (৪৩) বিরুদ্ধে আসামীকে পুলিশ হেফাজতে মারপিট করার অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ জুন) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেটি রোড দক্ষিন ভাড়াউড়া এলাকার আব্দুল কাদির এর স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪/১৭৬।
অন্য আসামীরা হলেন- পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন পুলিশ পরিদর্শক শিবিরুল ইসলাম(৪০), ডিউটি অফিসার কামাল উদ্দিন (৩৮), কন্সেটেবুল মো: মুসলিম উদ্দিন(৩০) ও কন্সেটেবুল লিমন দাস (২৮)।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল বলেন, আদালতের পিটিশন আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: রাশেদুল ইসলামকে মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মো: সোহেল আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আদালতের নিদের্শে মৌলভীবাজার মডেল থানায় নিয়মত মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত ফারুকুল ইসলামের মা জয়না বেগম গত ২৫/০৭/২০১৭ শ্রীমঙ্গল থানায় ছেলে হত্যার দায়ে স্ত্রী শিরিন আক্তার (২৫) সহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ কামাল উদ্দিন মামলার একমাত্র আসামী ফরুকুলের স্ত্রী শিরিন আক্তারকে (২৫) অভিযুক্ত করে ৩১/১০/২০১৭ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বাদী উক্ত রিপোর্টের উপর আদালতে না-রাজী দাখিল করিলে আদালত বাদীনির না-রাজী গ্রহন করে অধিকতর তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পিবিআই, মৌলভীবাজারকে নির্দেশ প্রদান করেন।
বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ১ মার্চ ২০১৮ খ্রিঃ প্রাপ্ত হয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলামকে তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয় । সোর্স নিয়োগ করে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে ৩০/০৫/২০১৮ খ্রিঃ তারিখে হবিগঞ্জ জেলা শায়েস্তাগঞ্জ বিশ্বরোড হতে শিরীন আক্তারের আপন ভাই মোঃ ইউনুছ হোসেন সুজনকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে ০১/০৬/২০১৮ খ্রিঃ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ভিকটিম ফারুকুল ইসলামকে হত্যার বর্ননা দিয়ে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।