যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বিভাগীয় নগরী সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে। এ ঈদগাহ ময়দানে লাখো মানুষের ঢল নামে।
নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ঈদগাহ’র খোলা ময়দানে হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছেন।
দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে অশ্রুভেজা কন্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে। তখন আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শাহী ঈদগাহ ময়দান।
ঐতিহ্যবাহী এই ঈদগাহ ময়দানে। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বন্দর বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ কামাল উদ্দিন।
জামাতের আগে বয়ান পেশ করেন বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোশতাক আহমদ খান। এখানে নামাজ আদায় করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশাসনিক, সামাজিক ও সুশীলসহ সর্বস্তারের মানুষ।
শাহী ঈদগাহে বরাবরের মত এবারও লক্ষাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। মূল ঈদগাহ ছাড়িয়ে ঈদগাহ পাশ্ববর্তী সড়কেও ঈদের নামাজ আদায় করেন লোকজন।
শাহী ঈদগাহ ছাড়াও নগরীর ২৬৪টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্টিত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল (রঃ) দরগাহ মসজিদে। একই সময়ে শাহপরান মাজার মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, সরকারি আলীয়া মাদরাসা মাঠ, পুলিশ লাইন্স মাঠ, টিলাগড় শাহ মদনী ঈদগাহ ময়দান, মাছিমপুর শেখ মৌলভী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদ, মেন্দিবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বন্দরবাজারস্থ হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে প্রথম ঈদের জামাত সাড়ে সাতটায়, দ্বিতীয় ঈদ জামাত সাড়ে আটটায় , শেষ জামাত সাড়ে নয়টায় এবং কাজিরবাজার জামেয়া মাদানিয়া মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের দিনে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখতে নগরী ও আশপাশ এলাকায় র্যাব পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে নগর ভবন সহ নগরীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এতিমখানা এবং জেলা প্রশাসনের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।