১২জুন সকাল ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য জেলা প্রশাসক, সিলেটের সাথে সিলেট জেলার সকল উপজেলা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে বলেন, মাঠ প্রশাসনে গতিশীলতা আনাই হচ্ছে এ চুক্তির মূল লক্ষ্য। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনপ্রশাসনে কর্মমূখী সংস্কৃতিক অধিকতর বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে যা রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত হতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, রূপকল্প-২০২১ এর যথাযথ বাস্তবায়নে প্রশাসন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সকল নাগরিকদের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়ানো, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করেছেন বর্তমান সরকার। সরকারের নীতি ও কর্মসূচি যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন এবং সরকারি কার্যক্রমের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে আসছে। কার্যকর, দক্ষ, গতিশীল প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবং সেবা প্রদানে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা আনতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রের ন্যায় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অবতারণা করা হয়েছে। এ চুক্তির ফলে মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি পর্যায়ে গতিশীলতা আসবে। এরপর অতিরিক্ত জেলা পশাসক (রাজস্ব) সিলেটের সাথে সকল সহকারি কমিশনার (ভূমি)গণের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সন্দ্বীপ কুমার সিংহ সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, সহকারি কমিশনার (ভূমি)গণ এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত সহকারি কমিশনারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। – বিজ্ঞপ্তি