হকারদের রাস্তার উপর না বসার কথা বলায় বিক্ষুব্ধ্ব হকার লীগের নেতা কর্মীরা সিলেট নগর ভবনে হামলা চালিয়েছে । তারা ভাঙচুর করেছে কয়েকটি যানবাহন । হামলার চেষ্টা করেছে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ওপরও। লাঞ্ছিত করেছে সিসিকের ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। হামলায় নেতৃত্ব দেন হকার্স লীগ নেতা আব্দুর রকিব।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিকাল সাড়ে ৫টায় নগর ভবনে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে করে বলেন, বন্দরবাজার এলাকায় অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছিল হকাররা। তাদের অবৈধ দখলদারিত্ব সড়কেও সম্প্রসারিত হয়। সোমবার বিকেলে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুটপাত দখল না করতে হকারদের প্রতি আহবান জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হকাররা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে সিসিকে হামলা চালায়। এসময় তার ওপরও হকাররা হামলার চেষ্টা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মেয়র বলেন, একপর্যায়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিরোধের মুখে হকাররা নগরভবন থেকে বের হতে বাধ্য হয়। এমন অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। তারা নগরভবনে হামলার দুঃসাহস কিভাবে পেল? কারা তাদেরকে সাহস যোগাচ্ছেন এদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। হকার্স লীগ নেতা আব্দুর রকিব ফুটপাত দখলের মামলায় জেল থেকে জামিনে রয়েছে। তারপরও তার দৌরাত্ম্য থেমে নেই।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, এ ঘটনার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন থেকে আইনী পদক্ষেপে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে। এর আগেও হকারদের উচ্ছেদের ব্যাপারে সিলেটের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ জেলা পরিষদের সভা করেছেন। সর্বসম্মতিক্রমে তাদের উচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি এখন নগরবাসীর দাবি। আর এই দাবি রক্ষার্থে সিটি কর্পোরেশন থেকে যা যা করার আমরা তা করবো।
মেয়র বলেন, হকাররা সিটি করপোরেশনের হিসাব কর্মকর্তা ম আ ন ম মনছুফ ও আরো তিন কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করেছে।
জানা যায়, নগর ভবনে হামলার পর সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হকারদের প্রতিহত করেন। এসময় হকাররা পালিয়ে যায়। পরে তারা নগরীতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। তারা নিজেরাই বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকার হকারদের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। তাদের তাণ্ডবে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।